ওটসের সুস্বাদু রেসিপি - ওটস চিলা Oats Chilla Recipe

 ওটস চিলা রেসিপি 


লোকে বলে যে পুষ্টিকর খাদ্য সুস্বাদু হয় না কিন্তু ইটা এখন সম্পূর্ণ সত্যি নয়।  পুষ্টিকর জিনিসকেও এখন সুস্বাদু বানানো যায়।  
আজকাল আমরা  অনেকেই ব্র্যাকফাস্টের মেনুতে দুধ বা গরম জলের সাথে ওটস ফুটিয়ে খেয়ে থাকে কারণ এটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর। আমাদের পেট অনেক্ষন ভরিয়ে রাখে। 
ওটস হল এমন এক শস্য যা আমরা সাধারণত আমাদের ডায়েটে যুক্ত করি যাতে আমরা ওয়েট কমাতে পারি , কিন্তু ওটসের আরো অনেক গুন্ আছে যা আমাদের জানা উচিত।  ওটসের বিভিন্ন গুণাবলী জানতে পড়ুন - ওটসের স্বাস্থ্য উপকারিতা  

পুষ্টির দিক থেকে পুরো মার্ক্স পেলেও স্বাদের দিক থেকে ওটস তেমন একটা মার্ক্স পায়না। 
 কিন্তু ওটস দিয়ে আমরা এমন কিছু রেসিপি বানাতে পারি যা আমাদের খেতেও ভালো লাগবে এবং সকালের ব্রেকফাস্ট এর জন্য সহজে বানানোও যাবে।  আজকে আমরা যেটা বানাবো সেটা হলো ওটস চিলা । 
ওটস চিলা খুবই সুস্বাদু এবং পেট ভরা একটি খাবার যা আপনারা ব্রেকফাস্টে  এমনকি রাত্রে বেলা কখনো কখনো ডিনারেও খেতে পারেন, আমাদের মুখের স্বাদ বদলের জন্য।  
ওটসের চিলা খানিকটা আমাদের বাঙালিদের গোলা রুটির মতো শুধু এটা ময়দার জায়গায় ওটসের গুঁড়ো দিয়ে বানানো হয়।  
তাহলে চলুন দেখে নি কি করে আপনিও আমার মতো চটজলদি ওটসের চিলা বানাতে পারবেন। 

ওটস চিলা  

                                                  সময় - ৩০ মিনিট     পরিবেশন - ২ থেকে ৩ জন 


     উপকরণ :- 

  • ওটস গুঁড়ো বা ওটসের আটা ১ কাপ 
  • বেসন ১/২ কাপ 
  • পেঁয়াজ কুচি ( একটা বড় )
  • লঙ্কা কুচি 
  • আদা কুচি 
  • ধনেপাতা 
  • জিরা 
  • হলুদ 
  • নুন 
  • গোলমরিচ 
  • গোটা জিরা

প্রণালী :- 


১. প্রথমে পেঁয়াজ , কাঁচা লঙ্কা , ধোনে পাতা নিয়ে ছোট করে কেটে নেবেন।  আদাটাকে একদম ছোট ছোট করে কাটবেন যাতে বড় বড় কুচি মুখের মধ্যে না পরে।  আপনার পছন্দ মতো আপনি অনন্যা সবজি যেমন গাজর , ক্যাপসিকামও ওর মধ্যে দিতে পারেন।  তবে মনে রাখবেন ছোট করে কেটে দেবেন যাতে চিলা বানানোর সময় ওই গুলোও একসাথে ভাজা হয়ে যায় , নাহলে সবজিগুলো কাঁচা থেকে যাবে।

২. সব সবজি কাটা হয়ে গেলে একটা পাত্রে ১কাপ ওটসের গুঁড়ো বা ওটসের আটা নেবেন , তাতে ১/২ কাপ বেসন মেশাবেন।  

৩. ওটস ও বেসনের মিশ্রনের মধ্যে সামান্য একটু হলুদ গুঁড়ো , নুন (স্বাদ মতো), গোটা জিরা এবং অল্প একটু গোলমরিচ দিয়ে দিবেন।  এতে চিলার স্বাদ আরো বেড়ে যাবে।  এরপর জল দিয়ে ভালো করে গুলে একটা ব্যাটার বানিয়ে নেবেন।  

৪. সব সবজিগুলো ওই মিশ্রনের মধ্যে দিয়ে দিয়ে আবারো জল দিয়ে একটা ব্যাটার বানিয়ে নেবেন। খুব বেশি পাতলাও না আবার খুব বেশি গাঢ় হবে না।  যেমন গোলা রুটি বা পকোড়ার জন্য ব্যাটার বানান সেইরকম রাখবেন।  


৫. এরপর ফ্রাইং প্যান এ সামান্য একটু তেল দেবেন ( আমি অলিভ ওয়েলে দি ) বা আপনি চাইলে ঘি ও দিতে পারেন।  তবে অনেক বেশি তেল দেবেন না তাহলে আর স্বাস্থ্যকর (Healthy) থাকবে না। 


৬. তেল গরম হলে কিছুটা ব্যাটার নিয়ে ফ্রাইং প্যানে গোল করে দিয়ে দিবেন। একটা দিক রান্না হয়ে গেলে উল্টে দিয়ে একই ভাবে ওপর পিঠটাও ভেজে নেবেন।  

৭.তাহলেই তৈরী হয়ে গেল স্বাস্থ্যকর ওটস চিলা।  একইরকম ভাবে বাকি গুলো ও তৈরী করে নিন আর গরম গরম পরিবেশন করুন।  



বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেরই এটি পছন্দ হবে।  স্বাস্থ্যকর হওয়ার সাথে সাথে এটি সুস্বাদুও বটে তাই বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার ডায়েটেই আপনি এটি যুক্ত করতে পারেন।  রোজকার খাবারে অনীহা হলে বা মুখের স্বাদ বদলাতে মাঝে মাঝেই আপনারা ওটসের চিলা খেতে পারেন।  ব্রেকফাস্ট, ডিনার এমনকি বিকেলের সানক্স এর জন্যও একদম উপযুক্ত। 








মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ